somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সব নষ্টের মূল

২৮ শে মে, ২০১০ রাত ১১:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের চেম্বারে একদিন মোশারফ বলেছিল, আপনার ছেলেটাকে দেখে মনে হয় সে বেশ বুদ্ধিমান। ওর লেখাপড়াটা যাতে ভালো হয় সেদিকে নজর রাখবেন। এজন্য প্রয়োজনে ওর কোনও প্রাইভেট টিউটর রাখতে হলে রাখবেন। টাকা আমি দেবো।

অফিস, ব্যবসা যৌথ হলেও ঘরটার মালিক মূলতঃ মোশারফই। তার কারণ, এটি আমরা যৌথভাবে ভাড়া মিটিয়ে দিলেও এ ঘরের যাবতীয় আসবাবপত্র, কম্পিউটার, চেয়ার-টেবিল, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র সবকিছুই আলাদাভাবে ক্রয় করেছিল মোশারফ। কথা ছিল, সে প্রতিদিন বিকেলে কিছুক্ষণের জন্যে এখানে বসবে, তার কিছু লোকজন আছে যারা ব্যবসায়িক প্রয়োজনে এখানে দেখা-সাক্ষাত করতে আসবে -এ পর্যন্তই। দিনের বাদবাকি সময়টা অর্থাৎ সারাদিনই ব্যবহার করবো আমরা, আমাদের চেম্বার হিসেবে।

কিন্তু, কথা থাকলেও সে প্রতিদিন এখানে আসে না, আসে মাঝে-মধ্যে। তার লোকজন যখন আসে তখন আমাদের পিওনগুলো তার হুকুম-ফরমায়েস খাটে। চা-সিগারেট এনে দেয়; এপর্যন্তই।

যাহোক, আমার প্রসঙ্গ নিয়ে যখন কথা উঠলো তখন একটু নড়েচড়ে বসলাম। রুমে আমি আর মোশারফ ব্যতীত আর কেউ নেই। প্রধান চেয়ারটাতে মোশারফ আর আমি ওর বিপরীত চেয়ারটাতে বসে।

সেদিন মোশারফকে বলেছিলাম, এখানে যা করছি তাতে ওর প্রয়োজন মেটাতে আমি পারছি না সেটা হয়তো আপনি বুঝেই কথাটা বললেন। সেজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সামনে ওর এসএসসি পরীক্ষা। পড়াশুনাও ভালো করছে তা নয়। বাড়িতে সারাক্ষণ ওর মায়ের বকাবকি আর অমাতৃসুলভ আচার-আচরণে ছেলেটা বখে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমি সারাদিন অফিসে থাকি। ওর প্রতি যে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করা উচিত তা হয়ে ওঠে না। বাড়িতে লেখাপড়ার কোনো পরিবেশ নেই। ওর পেছনে আমার আজ অনেক কিছু করা দরকার ছিল, কিন্তু তা আমি করতে পারছি না।

মোশারফ আমার কথায় কেন যেন খুশি হতে পারলো না। সে আবার বললো, সারাজীবন শুধু কামাই করলেন আর খেয়েই ফুরিয়ে ফেললেন! বাচ্চাদুটোর জন্যে কিছুই করলেন না? ওদের ভবিষ্যতের নিরাপত্তা কি রইলো?

একটু থেমে সে আবার বললো, আমার কথাই যদি বলি তাহলে বলবো, আমি মুক্তিযোদ্ধা ক্লাব করে গত দু’বছরে ঢাকায় দুটো জমি কিনেছি, আশা করি বাড়ির কাজেও হাত দেবো। তাছাড়া এই প্লাজার তিনতলায় এক হাজার স্কয়ার ফিট জায়গা কিনলাম, চাইনিজ রেস্তোরাঁটাকে নতুন ফর্মে দাঁড় করালাম, বাবাকে হজ্বে পাঠালাম, ছোটভাইগুলোর জন্যেও কিছু করে দেবার চেষ্টা করছি, পাশের মার্কেটে দোকান নিয়েছি সেখানে এক ভাইকে প্রোভাইড করেছি, সামনের নতুন যে মার্কেট হতে যাচ্ছে সেখানে দুটো দোকান রেখেছি, সেগুলো চালু হলে ওদেরও ব্যবস্থা হবে। আপনি কি করলেন? আপনার তো মেয়েটাও বড় হচ্ছে। আপনার তো অনেক কিছু করা দরকার ছিল।

আমি বলি, মানসিক শান্তি না থাকলে ঘর-সংসার কোনোকিছুতেই মন বসে না। এখন আমার আর কিছু ভালো লাগে না। আমি হতাশ হয়ে পড়েছি। আসলে আমি কী অবস্থায় আছি তা আপনাকে বুঝাতে পারবো না।

মোশারফ বললো, আমি বুঝি না, আপনাদের দাম্পত্য জীবনটা এমন কেন! একজন মহিলাকে আপনি বাগে আনতে পারলেন না!

আমি বললাম, বাগে আনার মতো মহিলা সে নয়। এমন কোনো পুরুষ নেই যে তাকে বাগে আনতে পারবে। সব মহিলাকে তো আর বাগে আনা যায় না; যায়?

মোশারফ একটু ভেবে বললো, আসলে সে যা নয় তাই সে জাহির করে। একবার আপনার মেয়ের স্কুলের শিক্ষিকা পদে চাকরির কথা সে আমাকে বলেছিল। একটু চেষ্টা করলেই হয়তো সে চাকরিটা পেত। কিন্তু সে আমাকে প্রথমে সেজন্য অনুরোধ করলেও পরে একদিন বলেছিল, আমি কোনো চেষ্টা না করলেও সে চাকরি পাবে। তাতে তার কোনো অসুবিধা হবে না। তার নাকি আরও লোকজন আছে, তারা তাকে সাহায্য করবে। আপনিই বলেন, এধরনের কথার পর আমি কি আর সেখানে যেতে পারি? এজন্যই বলছিলাম, যার কোনো দামই নেই সে যদি লাখ টাকার ভাও দেখায় তাহলে কেমন লাগে? সেই ঘটনার পর থেকে আমি তার সঙ্গে কোনো কথা বলতাম না। এখনো বলি না।

আমি বললাম, সে ওরকমই। আর ওরকম বলেই তাকে কেউ পছন্দ করে না। সে কোনোদিন কোনো চাকরি পাবেও না। সে কিছুই করতে পারবে না জীবনে।

মোশারফ হুইলচেয়ারটায় পেছনে গা এলিয়ে দিয়ে বসেছিল। এবার সে শরীর সোজা করে বসলো। তারপর ধীরস্থিরভাবে, অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে বললো, আমি চাই, আপনাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হোক। পারিবারিক শান্তি বজায় থাকুক। এখন আপনাদের দু’জনেরই বয়স হয়েছে। ছেলে-মেয়েরাও বড় হয়েছে, এখন যেভাবে চলা উচিত সেভাবে চললেই তো মিটে যায়। আপনাদের নিয়ে এত কথা শুনি; কেন, তা আমি জানি না।

-এখন আমাদের দাম্পত্য কলহ নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন লোকে বলাবলি করে। এসব তো ছড়িয়েছে সে-ই। আমি কখনো কাউকে কিছু বলতে যাইনি। বলার প্রশ্নও আসে না।

মোশারফ বললো, সমাজে এসব স্ক্যান্ডাল ছড়ালে পরে সন্তানদের ভবিষ্যত জীবনে সমস্যা হতে বাধ্য। পরে তাদের বিয়ে-সাদি দিতে গেলে এসব কথা উঠবে, সমস্যা হবে তখনই। আমার সঙ্গে ভাবীর যে ক’দিন কথাবার্তা হয়েছে তার মধ্যে সবই আপনার বিরুদ্ধে। আমি তাকে এভাবে বলেছি, সে-ই যদি সব নষ্টের মূল বলে আপনার কাছে মনে হয় তাহলে তার সঙ্গে ঘর করেন কেন? আপনার তো স্বাধীনতা আছে, আপনি ইচ্ছে করলে তার সঙ্গে সংসার না করতেও পারেন। এভাবে চলে না, চলতে পারে না। আমার এসব কথায় সে কেন যেন সন্তুষ্ট হতে পারেনি। কিংবা হতে পারে আমি তাকে বুঝতে পারিনি।

মোশারফ পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট বের করে একটা সিগারেটে আগুন জ্বালিয়ে বললো, আসলে ঘরে শান্তি না থাকলে কোথাও শান্তি থাকে না। আপনি পারেন না মাসে অন্তত দু’একবার তাকে সঙ্গ দিতে? বাইরে নিয়ে বেড়াতে? সমস্যা কোথায়?

আমি বললাম, তাকে আমি পছন্দ করি না। ওর কথা যখনই ভাবি তখনই আমার শরীর হীম-শীতল হয়ে যায়। মন থেকে সব আকর্ষণ হারিয়ে যায়। সে আমার সঙ্গে যত দুর্ব্যবহার করেছে সেগুলো আমার তখন মনে ভেসে ওঠে। তখন আমি তাকে স্ত্রী ভাবতে পারিনা। তাকে তখন আমার কাছে শত্রু মনে হয়। আর শত্রুকে বধ করতে ইচ্ছে করে, কখনো ভালোবাসতে মন চায় না। আর কারো আমার মতো হয় কিনা তা আমার জানা নেই, তবে আমার এরকমই হয়। সবকিছু জেনে এবং বুঝেই তাকে আমি সঙ্গ দেই না। একই ছাদের নিচে থাকি, তবুও তাকে আমার কাছের মানুষ মনে হয় না।

মোশারফ সিগারেটে টান দিয়ে ধোঁয়া ছেড়ে, এ্যাশট্রেতে ছাই ফেলে পরে বললো, আপনার মতো আমারও কিছু ঘটনা আছে যে জন্য আমি কিছুদিন প্রচন্ড মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে কাটিয়েছি। আমার বউ তো সরোয়ারকে পর্যন্ত বলেছিল, আমি নাকি কোনো মেয়ের পাল্লায় পড়েছি, তার কাছ থেকে আমাকে সরোয়ার যেন উদ্ধার করে দেয়। পরে আমি অবশ্য সব ঠিক করে ফেলেছি। এখন আমি বাইরে যা কিছু করি না কেন, মাসে দু’একদিন তাকেও সময় দেই, শপিংয়ে নিয়ে যাই। এতে কোনো সমস্যা হয় না। এখন আমরা বলতে গেলে সুখী। ওর নামে একটা জমি রেখেছি ত্রিশ লাখ টাকা ব্যয়ে। যখন যা চায় তা দিচ্ছি - আর কি চাই! অবশ্য আপনি খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন যে, আগের মতো আমি আর এখানে কোনো বান্ধবীকে আনিনা। কথাবার্তা যা কিছু হয় সব বাইরে। একদিন তো এখানে একটা মেয়ের প্রায় সামনা-সামনি হয়ে গেছিলো আরকি। আর একটু হলেই আপনার ভাবীর সঙ্গে দেখা হয়ে যেতো। আমিও মেয়েটাকে বের করে দিলাম আর অমনি আপনার ভাবীও এসে পৌঁছল।

-সে-কথা আমি জানি। আমি বললাম।

মোশারফ একটা বক্র হাসি দিয়ে বললো, রিসিপশনিস্টের সঙ্গে ক’বার ডেটিং হয়েছে, বলেন?

-একবারও না। কী যে বলেন, না!

-রাখেন, আমাকে বোঝাতে আসবেন না।

-আসলে আমি কিন্তু আপনার মতো মেয়ে শিকারী না। কীভাবে তাকে বলবো যে, আমি তার সঙ্গে শুব, একথা আমি কীভাবে বলবো, এটা কি আদৌ সম্ভব?

-আবারও সেই একই কথা বলেন! যাকে নিয়ে এত কথা তার সঙ্গে আপনার হয়নি একথা কেউ কি বিশ্বাস করবে?

-আপনি তো দেখি আপনার ভাবীর মতই কথা বললেন। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের কোনো প্রশ্ন নেই। তার সঙ্গে আমার দৈহিক সম্পর্ক ছিল না। তবে আমি তাকে স্নেহ করতাম এটা ঠিক।

মোশারফ হঠাৎ একটুখানি অন্যমনস্ক হয়ে পড়লো। তারপর বললো, আপনি জানেন না, আমি কেমন চোখে দেখতাম তাকে! আমি তো ইচ্ছে করলেই কিছু করতে পারতাম, কিন্তু করিনি। আমি তার দিকে চোখ তুলে তাকাইনি কখনো।

-স্নেহ করতেন অথচ সরোয়ার তাকে যেভাবে বিদায় করলো আপনি কিছুই বললেন না। এমনকি মেয়েটাকেও কিছু জিজ্ঞেস করলেন না।

-আমি চেয়েছি পুনরায় যাতে ঝামেলা না হয়। একই ব্যাপার নিয়ে বারবার কথা শুনতে ভালো লাগে না। ঊষার মা যেদিন আপনার বাড়িতে গুন্ডা-পান্ডা নিয়ে হামলা চালালো তার পরের কয়েকটা দিন ছিল খুবই উত্তপ্ত। আপনি বিশ্বাস করবেন না যে, আমি শেষ পর্যন্ত শুভ্র’র কিছু পোলাপানকে ডেকে এক হাজার টাকা বের করে তাদের হাতে দিয়ে বলেছিলাম, ব্যাপারটা যাতে বেশিদূর না গড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখতে। একথা তো আমি আপনাকে কখনো বলিনি, আজ বললাম। বিরক্তিরও তো সীমা আছে। সুতরাং আর কত!

সিগারেটের টুকরোটা এ্যাশট্রে-তে ফেলে দিয়ে মোশারফ আবার বললো, এবার আপনাদের ব্যবসার কি পরিস্থিতি তাই বলুন?

-নতুন সফট-অয়্যার আনলাম, নতুন কম্পিউটার কিনলাম। এগুলোরও প্রয়োজন ছিল। দেখা যাক, কতদূর কি করা যায়। আশা করি এবার ভালো কিছু করতে পারবো। এরপরও যদি কিছু না হয় তাহলে শেষ পর্যন্ত সব বন্ধই করে দিতে হবে।

মোশারফ কণ্ঠ খানিকটা দৃঢ় করে বললো, এবার তো আর বলতে পারবেন না যে, কম্পিউটার না থাকার জন্য ব্যবসা হচ্ছে না। এমাসেও যদি লোকসান যায় তাহলে খবর হয়ে যাবে কিন্তু। ভাবছি, আপনারা যেদিন এই ঘর ছেড়ে দেবেন সেদিন আমি আমার মিনি-চাইনিজটাকে পুরো চাইনিজ-এ রূপান্তরিত করবো এ-ঘরসহকারে। এখন আমার চাইনিজের অবস্থা অনেক ভালো বলা চলে। আমি এই জায়গাটাকেও যদি ওটার সঙ্গে যুক্ত করতে পারি তাহলে ভালোই হবে আশা করি। এখন কিছু কিছু পার্টির অফার আসছে, জায়গার দরকার হচ্ছে। জায়গা ছাড়া পার্টি ধরা যাচ্ছে না।

নিজের মধ্যে বিরাট একটা বিশ্বাস এনে অনুরূপ দৃঢ়তার সাথেই বললাম, অবশ্যই হবে। সবকিছুর আগে তো ব্যবসায়িক সেট-আপ দরকার। সেটা না থাকলে ব্যবসা হবে কিভাবে? এবার আর কোনো অসুবিধা হবে বলে মনে হয় না।

মোশারফ চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো, থাকেন, ক্লাবের দিকে যাই। ওদিকে গেলেই তো কিছু পাবো।

সে দরজা খুলে বাইরে চলে গেলেও আমি আরও অনেকক্ষণ সেই চেয়ারটাতেই চুপচাপ বসে রইলাম, আর আমার ভেতরে অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যত মিলে তোলপাড় হয়ে যেতে লাগলো। আর আমার মনে হলো, কেউ আমাকে হাত-পা বেঁধে শুন্য থেকে গভীর এক খাদে ফেলে দিয়েছে যেখান থেকে আমি আর কোনদিন উঠে আসতে পারবো না।

(ক্রমশ)
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০১০ রাত ১:৩৭
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×